রাঙ্গুনিয়ায় স্বপ্নের কথিত মহিলার তিন মাজার ভেঙ্গে দিল সুন্নি জনতা
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গতকাল ( শুক্রবার ২ মে) রাতে স্বপ্নে পাওয়া মহিলার তিন মাজার ভেঙ্গে দিল বিক্ষুব্ধ সুন্নিজনতা।
বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের অলিগলিতে অসংখ্য পীর আউলিয়ার মাজার রয়েছে। মাজারের প্রতি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যথেষ্ট ভক্তি ও শ্রদ্ধা এ অঞ্চলের লোকবসতির। কিন্তু এ শ্রদ্ধা ও ভক্তিকে পূঁজি করে গড়ে উঠেছে ভ্রান্ত মাজার। তেমনি তিনটি মাজারের সন্ধান মিলেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা রাজানগর হালিমপুর বাইশ্যেরডেবা গ্রামে।
স্বপ্নের কল্পিত মাজারের প্রতিষ্ঠাতা জানু আকতার স্বামী মৃত জালাল। পিতা মৃত আমিনুল হক। অপর দুটি মাজারের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠাতা শেলী আকতার। তারা ২০১৭ সাল থেকে রাজানগর হালিমপুর বাইশ্যেরডেবায় স্বপ্নে দেখেছে বলে রাতারাতি মাজার তৈরি করে। এতে মাজারকে কেন্দ্র করে পানি পরা,তাবিজ – কবজ,ঝাড়ফুঁক ইত্যাদি ব্যবসা শুরু করে।
তাছাড়া স্বপ্নে পাওয়া মাঠির ঘরকে মাজার হিসেবে কিছু নারী জড়ো হয়ে মাইক বাজিয়ে, কুরআান তিলওয়াত, কাউয়ালী গানের মাধ্যমে কল্পিত ওরস করে আসছে।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন পর পর আগন্তুক মহিলারা জড়ো হয়ে ওরস আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান হতে মহিলারা একত্রিত হতো। এতে এলাকার কারো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তারা। অনেকে দাবি করেন যে, এখানে কোন মাজারের অস্তিত্ব কোন সময় ছিলনা। জনৈক মহিলা স্বপ্নে দেখেছেন বলে দাবি করে তারা মাঠির ঘরকে মাজার বলে দাবী করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে মাঠির ঘরকে ভেঙে উক্ত স্থানে লোহা, ইট,বালু সিমেন্ট দ্বারা কথিত মাজার স্থায়ীভাবে নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বপ্নে পাওয়া জানু।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ইসলামে কোন ভন্ডামীর স্থান নেই। কল্পিত মাজারের নামে ভন্ডামি বন্ধ করা সময়ের দাবী বলে জানান। এতে তারা প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
সম্প্রতি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত রাঙ্গুনিয়া নেতৃবৃন্দ উক্ত স্থান পরিদর্শন করে এ বিষয়ে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে এবং এ ধরনের ভন্ডামী বন্ধে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
এতে এলাকার মানুষ ভন্ডামীর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভন্ড মাজার গুড়িয়ে দেয়।
এবিষয়ে রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভন্ড মাজারকে কেন্দ্র করে অনৈসলামিক কর্মকান্ড ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজে করতে দেয়া যায় না। তাই জনগণ এ ভন্ড মাজার কেন্দ্রীক ব্যবসা প্রতিহত করতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোজাম্মেল হোসাইন, হাফেজ আনোয়ার, মাওলানা সাইদুল হক, সেনা নেতা জমির উদ্দিন, ব্যাংকার রবিউল ইসলামসহ শতাধিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ।