রাঙ্গুনিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৭ আসামির ১০ বছর কারাদণ্ড
রাঙ্গুনিয়া থানার একটি ডাকাতি মামলায় ৭ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দেউলিয়া বিষয়ক আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. মিজান, সুব্রত দে ওরফে সুমন, আব্দুল মতিন, মো. নূর উদ্দিন, মো. আজাদ, মো. সেলিম ও মো. নুরুচ্ছফা তালুকদার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সরোয়ার হোসাইন লাভলু।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল গভীর রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সায়ের মোহাম্মদপাড়া এলাকায় একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফখরুদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। বাধা দিতে গেলে গৃহকর্তার মা শাহেদা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তারা আলমারির তালা ভেঙে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, আনুমানিক ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১২টি মোবাইল ফোন লুট করে।
এ ঘটনায় ফখরুদ্দিন বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ সাতজন চিহ্নিত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত দায়রা জজ (৫ম) আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরবর্তীতে বিচার নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দেউলিয়া বিষয়ক আদালতে বদলি হয়ে আসে।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সরোয়ার হোসাইন লাভলু বলেন, বিচারক ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর মধ্যে চারজন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মো. মিজান ও মো. আব্দুল মতিন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা মামলার বিচারকালীন সময় থেকেই পলাতক ছিলেন ।
রায়ের বিষয়ে বাদী ফখরুদ্দিন জানান, মামলায় রায়ে সন্তুষ্ট। দীর্ঘদিন পর ডাকাতি মামলার রায় পেয়ে আমার পরিবার খুশি। লুন্টিত মালামাল উদ্ধার করে ফেরত পেলে আরো ভাল লাগতো।