রাঙ্গুনিয়ায় বেড়াতে এসে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু,এক শিশু নিখোঁজ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বেড়াতে এসে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
নিহত আরিফার (১১) লাশ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
নিখোঁজ শিশু মোহাম্মদ ইমনের (৬) সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন স্বজনরা।
চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের রাইখালীর বাসিন্দা রিক্সা চালক মো. আব্দুল গনির বাড়িতে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ আইডব্লিউ কলোনী এলাকায় বসবাসকারী তার মেয়ের পরিবার ও পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী ভোলা জেলার আনোয়ার হোসেনের পরিবার সহ মোট ছয় জন সদস্য ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে আসে।
আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কোদালা সোলতানিয়া মাদ্রাসার পাশে রাইখালী জাহাঙ্গীর ড্রাইভার ঘাটায় রিক্সা চালক মো. আব্দুল গনির নাতি মোহাম্মদ ইমন (৬) ও ভোলা জেলার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আরিফা (১১) নামে দু’জন কর্ণফুলী নদীতে খেলার সময় গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।
দুপুর সাড়ে বারটায় মেয়েটির মরদেহ চন্দ্রঘোনা রাইখালী ফেরীঘাট কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান অবস্থায় চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
রিক্সা চালক মো. আব্দুল গনি জানান, সবার অজান্তে খেলা করার সময় তার নাতি ইমন ও নাতির প্রতিবেশী আরিফা কর্ণফুলী নদীতে ত*লিয়ে যায়। আরিফার মরদেহ উদ্ধার হলেও তার নাতি ইমন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ইমনের পিতার নাম মো. ফোরকান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বজনরা নিখোঁজ ইমনের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি শাহজাহান কামাল বলেন, “বেড়াতে এসে দুটি শিশু নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায় বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। ছেলেটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে।”
তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
খবর পেয়ে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ৫ জনের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
ডুবুরি দলের প্রধান আবদুস সবুর জানান, খবর পেয়ে টিমের সদস্যদের নিয়ে তিন দফা পানিতে অভিযানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কর্ণফুলীতে পানির স্রোত বেশী থাকার দরুণ নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়নি। পানির স্রোত কমলে আবার চেষ্টা করব।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ইনচার্জ ও লিডার সাসুই মং মারমা জানান, ডুবুরি দলসহ আমরা দুপুর থেকে নানা ভাবে চেষ্ট করি কিন্তু বন্যার পানির স্রোতের কারণে পানিতে নেমে নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়নি।